তিনি বলেছেন, “এ দেশটা সবার। ১৯৭১ সালে সব সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয়ে এ দেশটাকে রক্ত দিয়ে রক্ষা করেছে। দেশটাকে আমরা সামনে নিয়ে যাচ্ছি এ সরকারের নেতৃত্বে, সেটাও কিন্তু সবাই মিলেমিশে করে যাচ্ছি।”
শুক্রবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সিংগিয়া শাহপাড়া গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষ্ণ ঘোষের পরিবারের জন্য র্যাবের তৈরি করে দেওয়া নতুন বাড়ির চাবি হস্তান্তর শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বেনজীর।
ওই ঘটনায় জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান লিটনসহ দশ জনের নামে সদর থানায় মামলা করেন কৃষ্ণ ।
বেনজীর বলেন, “নির্বাচন এলেই ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর যারা হামলা করে, তারা জাতির জন্য কলঙ্ক।”
এ ধরনের হামলার জন্য দায়ী, তাদের খুঁজে বের করে আইনের মুখোমুখি করার জন্য সবার সহযোগিতা চান র্যাব প্রধান।
বাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ঘর পুণঃনির্মাণ করে দেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আগে যে বাড়িঘর ছিল, ‘তার চেয়েও ভালো’ বাড়িঘর তারা করে দিয়েছেন।
ধর্মীয় ‘সংখ্যালঘু’ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরকার ও রাষ্ট্র রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা এ দেশে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বসবাস করতে পারে।
“দুর্ঘটনা ঘটতে পারে; ক্রিমিনাল যারা, তারা অপরাধ করতে পারে; কিন্তু এতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আস্থার সংকট যেন তৈরি নয় হয়, কারো মধ্যে কোনো ভীতির পরিবেশ যেন তৈরি না হয়, সেটাই মূলত আমরা চেয়েছি।”
বেনজীর বলেন, কৃষ্ণ ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়ার ওই ঘটনার পর এলাকায় র্যাবের একটি ক্যাম্প করা হয়েছে। সারাদেশে ধর্মীয় সংঘ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য র্যাব সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি ৩০ ডিসেম্বর দেশের মানুষ যাতে ‘শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে’ ভোট দিতে পারে, সেজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
“আমরা প্রত্যেক ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে যেতে অনুপ্রাণিত করব। যদি কেউ শান্তি ভঙ্গের চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
র্যাব মহাপরিচালক পরে ঠাকুরগাঁওয়ে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।