কিশোরগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলি, হৃদরোগে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে নৌকা ও ধানের শীষ সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় পুলিশের ‘ফাঁকা গুলির শব্দে’ এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2018, 06:34 PM
Updated : 27 Dec 2018, 06:34 PM

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সরারচরে এ ঘটনা ঘটে বলে বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান।

মৃত শহীদুল ইসলাম শহীদ (৫৮) বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি।

কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল বলেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার বাড়ির চারপাশে দুই শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে এবং সেখানে থাকা বিএনপি কর্মীদেরকে গণপিটুনি দেয়।

“পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ব্যাপক গুলিবর্ষণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে শহীদুল ইসলাম শহীদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।”

উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম উপজেলা ইটখোলা মালিক সমিতির সভাপতি বলেও তিনি জানান।

তিনি বলেন, গুলিবর্ষণের সময় শহীদ মিয়া সরারচর পুরানবাজারে নিজের দোকানে বসা ছিলেন। গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে তিনি নিচে পড়ে যান। তাকে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মজিবুর রহমান আরও বলেন, “আমাকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দিতেই পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে।”

বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, সরারচরে কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থী শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালের বাড়ির কাছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।

“সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৯০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ঘটনাস্থল ও আশপাশে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।”

তবে গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে মারা যাবার বিষয়টি তার জানা নেই বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আফজাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।