জেলার পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিকালে মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এসিলাহা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
তিনি বলেন, “আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
ঘটনাস্থল থেকে হাতবোমা ও পেট্রোল বোমাসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।তবে আব্দুল আলীমকে আটক করা যায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বাগেরহাট জেলা জামায়াতের সূরা সদস্য আব্দুল আলীমের সঙ্গে বাগেরহাট-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোজাম্মেল হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলায় নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে জামায়াত নেতা আব্দুল আলীমের বাড়িতে বসে তার সমর্থকরা নাশকতার পরিকল্পনার বৈঠক করছে বলে তারা গোপনে খবর পান।
“সেখানে অভিযান চালিয়ে জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের ৯৯ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।”
পরে ওই জামায়াত নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হলে একটি অবৈধ ওয়ান শুটারগান, তিনটি গুলি, নয়টি হাতবোমা ও ছয়টি পেট্রোল বোমাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায় বলে সংবাদ সমোমলনে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাট জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ শেখ বলেন, তাদের প্রার্থী আব্দুল আলীমের সমর্থকেরা মোরেলগঞ্জ পৌরসভায় মিছিল করা জন্য হয়। এ সময় পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ৯৯ নেতাকর্মীকে আটক করে।
নির্বাচনের আগে তাদের দলকে মাঠশূন্য করতে এ গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ এ জামায়াত নেতার।