আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গড়ে ওঠা সংগঠনটির উদ্যোগে মঙ্গলবার ঝিনাইদহ শহরে এক সম্প্রীতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে সংগঠনটির আহবায়ক পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী যুদ্ধাপরাধীদের দল। তাদের এদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
“মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।”
সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এদেশের মানুষকে আত্মসচেতন ও বিবেককে জাগ্রত করার আহ্বান জানিয়ে পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যখন মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নেয় তখন ভাবতে অবাক লাগে। এটা এক অদ্ভুত ব্যপার; কিন্তু রাজাকাররা আদর্শচ্যুত হয়নি।
ধর্মের অপব্যাখ্যায় বিভ্রান্ত না হওয়ারও আহবান জানিয়ে তরুণদের উদ্দেশে পীযুষ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে। এ ভূখণ্ডের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ছড়িয়ে দিতে হবে।
“মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের হিন্দু মুসলমান খ্রিস্টানদের রক্তস্রোতের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় ঘটেছে” উল্লেখ করে পীযুষ বলেন, “মুক্তিযুদ্ধাকালে সম্প্রীতি শুধু বাংলাদেশের ভিতরেই ছিল না, আন্তর্জাতিকভাবে এ সম্প্রীতি গড়ে উঠেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি ভারতীয় সেনারাও রক্ত দিয়েছিল।”
সম্প্রীতি বাংলাদেশের মূলমন্ত্র হলো, “গাহি সাম্যের গান, মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই- বর্তমান সময়ে এর অপব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। যারা অপব্যাখ্যা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে। মানুষই পারে সুন্দর একটা পৃথিবী উপহার দিতে।
“প্রতিটা নির্বাচনের পরেই সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হয়ে থাকে। আমরা এবার চাইব, এধরনের ঘৃণ্য কাজ থেকে সবাই নিবৃত হয়ে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন উপহার দিয়ে দেশে সন্ত্রাস, জঙ্গি, যুদ্ধাপরাধীমুক্ত একটি সরকার গঠন হবে।”
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ ঝিনাইদহের সদস্য সচিব একরামূল হক লিকু।
এছাড়া অনুষ্ঠানে কবি, সাহিত্যক, শিল্পী, সাংবাদিক, শিক্ষক, রাজনীতিক, আইনজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, মানবাধিকারকর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ইমাম, পুরোহিত, ইসলামি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা, নারী নেত্রীসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।