রোববার সিলেট নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাই এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তাদির এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সনের এ উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকার দলীয় লোকজন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তার নির্বাচনী কাজে নিয়মিত বাধা প্রদান করে যাচ্ছে। নেতা কর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে ও বাসাবাড়িতে তল্লাশির নামে বিএনপি নেতাকর্মী ও তাদের স্বজনদের হয়রানি নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি শাহপরান থানার ওসি আখতার হোসেনের দ্রুত বদলির দাবি করেন।
১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই সিলেটের প্রশাসন পরিকল্পিতভাবে তার নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে বাধা দিচ্ছে বলে বিএনপির এ প্রার্থী অভিযোগ করেন।
সিলেট মহানগরী ও সদর উপজেলায় দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দের বাড়িতে দফায় দফায় তল্লাশি করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার এড়াতে অন্যত্র রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। নেতাকর্মীদের বাড়িতে না পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নেতাকর্মীর স্বজনদের সঙ্গে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে।
এ অবস্থায় আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন কতটুকু অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হবে তা নিয়ে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে, বলেন সিলেট-১ আসনের এই প্রার্থী।
নির্বাচনী আচরণবিধি সম্পর্ক মুক্তাদির আহমদ বলেন, সরকারি দলের প্রার্থী ও তার সমর্থকরা প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন। তারা রঙ্গিন ব্যানার লাগিয়েছেন। দেয়ালে পোস্টার লাগিয়েছেন। কিন্তু, এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
বিভিন্ন স্থানে ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারণায় সরকারি দলের প্রার্থীর সমর্থক ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রচারের মাইক নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার লাগাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে; এমনকি লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপি সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মহানগর বিএনপি সভাপতি নাসিম হোসাইন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল হক, মহানগর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত চৌধুরী সাদেক, জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গাফফার, ঐক্যফ্রন্ট নেতা আনসার খান, , মহানগর সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির শাহীন প্রমুখ।