মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রোববার মেহেরপুর স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের কুজকাওয়াজ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় সদর থানার ওসি রবিউল ইসলাম, পুলিশ লাইনের কনস্টেবল মো. রনি (২৬) ও মেহেরপুর শহরের ভূমি অফিস পাড়ার স্কুল ছাত্র সুরুজ আলী (১৫) আহত হন বলে জানান মোস্তাফিজুর।
রনি ও সুরুজকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ওসি এবং আরও দুই জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আটকরা হলেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল সামাদ বাঁধন, ছাত্রলীগ কর্মী ইব্রাহীম (১৭), শিশির (১৮) ও আশিক (১৬)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বেলা ১১টার দিকে স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজয় দিবসের কুজকাওয়াজ অনুষ্ঠান চলছিল।
“অনুষ্ঠানে ইব্রাহিম হোসেন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী ভূমি অফিস পাড়ার সুরুজ আলীকে মারধর করছিল। এ সময় পুলিশ ছাত্রলীগ কর্মী ইব্রাহিম হোসেনকে আটক করে।”
মোস্তাফিজুর বলেন, তখন স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের কাছ থেকে ইব্রাহিমকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা ওসিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
“হামলায় পুলিশ সদস্য রনির ডান হাত ও পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রলীগ সভাপতি বাধনসহ চার জনকে আটক করা হয়।”
মেহেরপুর সদর থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হবে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের পুলিশ খুঁজছে।
ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায় বলে ওসি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ সাবেক ছাত্রলীগের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কেউ কথা বলতে রাজি হননি।