যুদ্ধে নিপীড়িত নারীর ক্ষতিপূরণের দাবি দুই বীরাঙ্গনার

যুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের ক্ষতিপূরণের নীতি গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের দুই বীরাঙ্গনা জাবেদা খাতুন ও আনোয়ারা বেগম।

দেবাশীষ দেববিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2018, 05:29 PM
Updated : 17 Dec 2018, 11:37 AM

নোবেলজয়ী ড. মুকওয়েগে ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে সম্প্রতি বাংলাদেশের এই দুই নারী নেদারল্যান্ডস গিয়েছিলেন। লন্ডনভিত্তিক নারীবাদী সাংস্কৃতিক দল কমলা কালেক্টিভসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় তারা সেখানে একটি উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দেন।

বীরাঙ্গনা আনোয়ারা বেগম (৬৮) পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের গেরাখালী গ্রামের আনসার হাওলাদারের স্ত্রী। জাবেদা খাতুন (৭৭) থাকেন শেরপুরের সোহাগপুর বিধবা পল্লিতে।

কমলা কালেক্টিভের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুদ্ধকালীন যৌন নিপীড়নের শিকার বিশ্বের আরও ১৫টি দেশের অন্তত ৩০ জন নারীর সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের হেগে অনুষ্ঠিত ওই সম্মলনে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের এই দুই বীরাঙ্গনা।

কমলার বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উচ্চ পর্যায়ের এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যুদ্ধে নিপীড়িত নারীদের পক্ষ থেকে একজন নারী দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গনা জাবেদা খতুন।

জাবেদা খাতুন জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে স্বীকৃতির দাবি করেছেন। যুদ্ধে নিপীড়িত নারীদের জন্য ক্ষতিপূরণের নীতি গ্রহণেরও আহ্বান জানান।

সম্মেলনে উপস্থিত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধিসহ উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের কাছে জাবেদা খাতুন বলেন, “আমরা বাংলাদেশে স্বীকৃতি পেয়েছি। এখন আমরা ক্ষতিপূরণ চাই; আমরা বিশ্ববাসীরও স্বীকৃতি চাই। আপনারা আমাদের জন্য কী করবেন? 

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম থেকে কথা বলা হয় আনোয়ারা বেগম এবং জাবেদা খাতুনের ছেলের সঙ্গে।

আনোয়ারা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সম্মেলনে তারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। তাদের ক্ষতির কথা বলেছেন।

জাবেদা খাতুনকে ফোন করলে তার ছেলে ইউসুফ আলী ধরেন। তার মা অসুস্থ উল্লেখ করে তিনি তার পক্ষে কথা বলেন।

তার মা যুদ্ধকালীন নির্যাতনের বিবরণ নেদারল্যান্ডসের সম্মেলনে তুলে ধরেছেন বলে জানান ইউসুফ।