সিরাজগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ

সিরাজগঞ্জ শহরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী ও চার পুলিশ আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ এসেছে।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2018, 06:06 PM
Updated : 14 Dec 2018, 06:12 PM

শুক্রবার সন্ধ্যার পর শহরের কলেজ রোড ও বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

সদর থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ বলেন, “টহল দেওয়ার সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের গাড়ির ওপর হামলা চালায়।

“এ সময় রবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। হামলায় পুলিশের একটি গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করা হয়। এতে চার পুলিশ আহত হন।”

এ ঘটনায় ‘পাঁচ-ছয়জনকে’ আটক করে থানায় রেখে যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অভিযোগ করেন, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী রুমানা মাহমুদের জন্য শহরে গণসংযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নেতাকর্মীরা।

“তখন ১০-১২টি মোটরসাইকেলে করে একদল লোক বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মহড়া দেয়। মাগরিবের পর একপর্যায়ে তারা জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দুইটি ককটেল ছোড়ে। এ সময় বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা তাদের ধাওয়া দেয় “

এরপর সেখানে পুলিশ যায়।

টুকুর অভিযোগ, “পুলিশ বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ করে।  বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ছোড়ে।

“পুলিশের গুলির কয়েকটি স্প্লিন্টার সিরাজগঞ্জ-২ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী রুমানা মাহমুদের শরীরে বিদ্ধ হয়। চিকিৎসকরা তার পিঠ, পা ও হাত থেকে বেশ কয়েকটি স্প্লিন্টার বের করেন। এছাড়া পুলিশের ছোড়া গুলির স্প্লিন্টার মেরিনা নামে আমাদের এক নেত্রীর দুই চোখে বিদ্ধ হয়েছে।”

সিরাজগঞ্জ পৌর কমিশনার হেলেনার গলায়, জেলা ছাত্রদল সভাপতির গলায়, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ সুইটের মাথায় স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয় বলে টুকু দাবি করেন।

বিএনপি প্রার্থী রুমানা বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “গুলিতে আহত মেরিনা ও জনি নামে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে পুলিশ সেখান থেকে দুইজনকে আটক করায় আহতরা হাসপাতালের বাইরে নিরাপদে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।”