জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুর রহমান জানান, ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে আনসার সদস্যরা কমান্ড্যান্ট আব্দুর রশিদকে তার অফিসকক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখার পর পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।
আনসার দলনেত্রীরা সাংবাদিকদের বলেন, কমান্ড্যান্ট রশিদ প্রায় দুই বছর আগে মেহেরপুরে যোগ দেওয়ার পর থেকে শুধু তরুণী সদস্যদের কাজে নেন। তারপর তিনি বিভিন্নভাবে তাদের যৌন হয়রানি করে পদোন্নতির প্রলোভন দিয়ে শান্ত রাখতেন। গত ৫ ডিসেম্বর দুই দলনেত্রীকে যৌনহয়রানির চেষ্টা করলে তারা প্রতিবাদ করেন। তারপর অনেকে সংগঠিত হয়ে শুক্রবার এর প্রতিবাদ করেন।
তারপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনীত আভিযোগ ষড়যন্ত্রমূলক। আমার অধীনস্ত কিছু দলনেতা-নেত্রী আমার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির যে লিখিত অভিযোগ করছে সেটা পরিকল্পিত। তারা আমাকে ফাঁদে ফেলে মেহেরপুরছাড়া করতে চায়।”
তবে কেন তারা তার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রে নেমেছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদুর বলেন, “দুইজন দলনেত্রী তার বিরুদ্ধে লিখিত আভিযোগ দিয়েছেন। তারা যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। আনসার সদস্যরা কমান্ড্যান্টের দ্রুত বদলি চেয়েছেন। পুলিশ অভিযোগ আমলে নিয়েছে।”