বুধবার জেলা শহরের ছোটবাজারে বিভিন্ন কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, কম্পিউটারে ডিজাইন, ছাপানো, কাটাকুটি, বাঁধাছাদা নিয়ে ব্যস্ত সবাই।
গ্রাফিস বাংলা ডিজাইনের মালিক সাখাওয়াত উল্লাহ মহব্বত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ময়মনসিংহের পাশাপাশি নেত্রকোণা, জামালপুর ও শেরপুরের প্রার্থীরাও তাদের কাছে আসছেন।
“দিন-রাত কাজ করছেন শ্রমিকরা। নির্বাচন উপলক্ষে কারখানায় বাড়তি শ্রমিক আনা হয়েছে। তার পরও অর্ডার শেষ করা যাচ্ছে না “
নির্বাচনের সময় কাজের প্রতি উৎসাহ বেড়ে যায় বলে জানান মালিকরা।
বৈশাখী প্রিন্টিং প্রেসের মালিক শামসুল আলম বলেন, “চার-পাঁচ দিন ধরে কাজের ব্যাপক চাপ বেড়েছে। ২৪ ঘণ্টা কারখানাতেই কাটাতে হয়। আরও কয়েক দিন এ রকম চাপ থাকবে বলে মনে হচ্ছে।”
কাজ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই ওভার টাইম করতে হচ্ছে বলে জানান এখানকার শ্রমিকরা।
বৈশাখী প্রিন্টিং প্রেসের শ্রমিক আব্দুল আলিম বলেন, “আমরা দৈনিক আট ঘণ্ট ডিউটি করি। কিন্তু নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে থেকেই কাজ বেড়ে গেছে। এতে বেতনের বাইরেও কিছু বাড়তি আয়ের সুযোগ পাচ্ছি।”
কাজের চাপে সম্প্রতি পরিবার-পরিজনের খোঁজখবর নেওয়ারও সুযোগ পাচ্ছেন না বলে জানালেন রাসেল আহম্মেদ নামে এক শ্রমিক।
ময়মনসিংহ মুদ্রণশিল্প মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ইয়াজদানী কোরায়শী কাজল বলেন, ঝিমিয়ে পড়া ছাপাখানা নির্বাচন ঘিরে জমজমাট হয়েছে।
“জেলায় ৬৫টির মত ছাপাখানা রয়েছে। সবগুলোয় সবাই দিনরাত কাজ করছেন। নির্বাচন ঘিরে বাড়তি আয় করতে পেরে উচ্ছ্বসিত এখানকার পাঁচ শতাধিক শ্রমিক।”
এ জেলায় এবার ১১টি আসনে ৫৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।