ফরিদপুরে ‘বিএনপি’ কর্মীর হামলায় আ. লীগ নেতা নিহত

ফরিদপুরে ভোট নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে লাঠির আঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরেক আওয়ামী লীগ নেতা।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2018, 05:04 PM
Updated : 11 Dec 2018, 05:24 PM

মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ইউসুফ আল মামুন (৪০) ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশররফ হোসেনের কর্মী এবং নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক।

আহত স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি লালন ফকিরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচার শুরুর পর প্রথম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে নোয়াখালীতে। এরপর ফরিদপুরের এ ঘটনা ঘটল। 

স্থানীয় বাসিন্দা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আফসার উদ্দিন বলেন, রাত সাড়ে ৮টার সময় নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গা এলাকার একটি চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফের সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির সমর্থক মজিদ ও আজিজের নির্বাচন প্রসঙ্গ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কথাকটাকাটি হয়।

“মজিদ শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করেন। এ সময় ইউসুফ তার প্রতিবাদ করলে সে ইউসুফকে কিল ঘুষি মারে। পরে দোকানের ঝাপের লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়।”

পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইউসুফের মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সমর্থক। শাস্তিপূর্ণ নির্বাচনকে অশান্ত করার জন্যই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জমিরউদ্দিন হাজি এ বিষয়ে বলেন, নিহত ইউসুফ ও আজিজ সমবয়সী। তারা একই সঙ্গে চলাফেরা করে।

“আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ থেকে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এটি কোনো পরিকল্পিত ঘটনা নয়।”

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সমর্থকদের শান্ত থাকার অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এলজিআরডি মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এএফএম নাছিম বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর ঘটনার কারণ বলা যাবে।