সোমবার নোয়াখালীতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছেন।
“দণ্ডিত, পলাতক, সাজাপ্রাপ্ত আসামির নেতৃত্বে যে দল চলছে, যে ঐক্যফ্রন্ট চলছে, সেই ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে বাংলাদেশের জনগণ আজকে নেই।”
সেতুমন্ত্রী বলেন, জনগণ সাড়া দিচ্ছে না, সাড়া দিচ্ছে না বলেই তারা এখন বিদেশিদের কাছে শুধু নালিশ করছে না, সর্বশেষ খবর হচ্ছে লন্ডনে বসে তারেক রহমান পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করছেন। ঢাকায় মির্জা ফখরুল পাকিস্তানি দূতাবাসে গোপন বৈঠক করছেন।
“এই বৈঠকের অর্থ হচ্ছে তারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা এখানকার নির্বাচনে কী করবে? তাদের কি করণীয় আছে? আমার দেশের ভোট দেবে আমার দেশের জনগণ, সেখানে পাকিস্তানের কী করার আছে!”
কাদের বলেন, পাকিস্তানের সাথে তাদের বৈঠক কেন, তাও আবার গোয়েন্দা সংস্থা। নিশ্চয়ই নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র তারা করছে। তারা যদি মনে করে ২০১৪ সাল আবারও ফিরে আসবে তারা বোকার স্বর্গে বাস করে। বাংলাদেশের জনগণই তাদেরকে প্রতিহত করবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দুর্নীতিতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়ায় তারা আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছে না। তারা টাকা নিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্য করায় বঞ্চিতরা বার বার বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে হামলা করছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী, সদর উপজেলা সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহিন, নোয়াখালী শহর সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক শহিদ উল্যাহ খান সোহেল প্রমুখ।