টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, সোমবার সকালে পূর্ব আরিচপুর এলাকায় হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে তার স্বামী পলাতক রয়েছেন।
নিহত কুলসুম বেগম (৩২) ওই এলাকায় সানাউল্লাহর বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় পিংকি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার ইউসুফ আলীর মেয়ে ও হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী তিনি।
এসআই জহিরুল বলেন, কুলসুম ছিলেন হুমায়ুনের প্রথম স্ত্রী। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। কুলসুম ছাড়াও তার আরও দুই স্ত্রী রয়েছেন। তিন মাস আগে কুলসুমের সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়। কুলসুমকে ফিরে পেতে চেষ্টা করছিলেন হুমায়ুন।
“আরিচপুরের বাসায় সকালে কুলসুমের সঙ্গে হুমায়ুনের কথাকাটাকাটি হয়। এর কিছু সময় পর ঘরে কুলসুমের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। তার বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে।”
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশের ধারণা হমায়ুন তাকে খুন করার পর পালিয়ে গেছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।