কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আবুবকর মিয়া জানান, রোববার সকালে উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের সোমবাজার এলাকায় হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল হাই (৬০) স্থানীয় সোমবাজারে একটি রড-সিমেন্টের দোকান চালাতেন।
হত্যার অভিযোগে তার ছেলে নকিব হাসান হৃদয়কে (১৮) আটক করেছে পুলিশ।
নিহত হাইয়ের শ্যালক আব্দুল আলিম জানান, রোববার ভোরে নকিব ছুরি নিয়ে ঘুমন্ত বাবাকে উপর্যুপরি আঘাত করেন এবং মাথায় রড দিয়ে বাড়ি মারেন। তার মা টের পেয়ে ঠেকাতে গেলে মাকেও রড় দিয়ে বাড়ি মারেন। মায়ের চিৎকারে নাকিবের বড় ভাই নিলয় এগিয়ে এলে নকিব তাকেও রড দিয়ে আঘাত করেন।
“স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত হাইকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
নকিব চার-পাঁচ বছর ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে মামা আবদুল আলিমের দাবি।
তিনি বলেন, নকিব কালীগঞ্জ আরআরএন পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অকৃজ্ঞকার্য হয়। আগামী বছর তার আবার পরীক্ষার দেওয়ার কথা ছিল।
স্থানীয়রা জানান, হামলার পর নকিব তার নিজের ঘরে গিয়ে নিজের মাথার চুল নিজেই কাটা শুরু করেন। তাকে আটকাতে এলাকাবাসী ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়। পরে নকিব রশিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ওসি আবুবকর বলেন, পুলিশ ঘটনা খতিয়ে দেখছে। নকিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।