শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মুরুব্বিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর তিনি বলেন, ওইদিনের সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় যে মামলা হয়েছে তা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ইজতেমা এবং তাবলিগ সম্পর্কে দেশের মানুষের ভালো ধারনা ছিল; কিন্তু সম্প্রতি তাবলিগ জামাতের দুইটি গ্রুপ হয়ে যায়। তাদের মধ্যে ভিন্নমত দেখা দেয়। ফলে বিভিন্ন জায়গায় মারামারির মতো ঘটনা ঘটতে থাকে। এমতাবস্থায় বিশ্ব ইজতেমা করা হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
“আমরা নির্বাচনের পর উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে ইজতেমার তারিখ নির্ধারন করব। তার আগ পর্যন্ত কোনো রকম ইজতেমা, জোড় ইজতেমার কাজ স্থগিত থাকবে; কিন্তু আমরা কী দেখলাম?”
তিনি বলেন, এরপরও ইজতেমা ময়দানে একটা হত্যাকাণ্ড হয়েছে, আরও তিন জন তাবলিগের সাথী মৃত্যুশয্যায় রয়েছেন এবং আরও বেশ কিছু আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে থানা এবং কোর্ট মিলিয়ে ৩টি মামলা হয়েছে।
“এই মামলাগুলো তদন্তের পর যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার বিচার করা হবে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইজতেমায় মুসল্লিরা এখানে আসেন ইবাদতের জন্য, ধর্মীয় কাজে। তারা মাঠের কাজের জন্য, তাবলিগের মেহনতের জন্য এসেছেন। এরা কীভাবে মারামারি করে! তার জন্য প্রশাসনের কেউ প্রস্তুত ছিল না।
“প্রশাসনের লোকজনের সামনে জোর করে একটি পক্ষ ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করে। আমরা ভেবেছিলাম তারা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করে প্রস্তুতি সভা করবে; কিন্তু তারা তা না করে ভাঙচুর করে এবং এখানে যারা ছিলেন তাদের আহত করলেন। এটা সত্যিই দুঃখজনক ঘটনা।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “অবশ্যই ইজতেমা হবে। দুই পক্ষ আবার বসে তাদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে তা ক্লিয়ার করবে এবং ইজতেমা আবার হবে এটা আমরা বিশ্বাস করি।”
এ সময় আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, স্থানীয় স্ংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তাবলিগ জামাতের মুরুব্বিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত শনিবার টঙ্গির ইজতেমা ময়দানে জোড় ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তাবলিগের দিল্লি মারকাজ ও দেওবন্দপন্থিদের সংঘর্ষে ময়দান ও আশপাশ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত এবং অন্তত দুইশ আহত হন।