ইজতেমা ময়দান খুলে দেওয়ার দাবি

জোড় ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠ খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জুবায়ের পন্থি আলেমগণ।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2018, 05:33 PM
Updated : 7 Dec 2018, 05:34 PM

শুক্রবার জুমার নামাজের পর টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে আয়োজিত সমাবেশে তারা এ দাবি জানান।

গত শনিবার তাবলিগ জামাতের দিল্লি মারকাজ ও দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুসারীদের মধ্যে দিনভর সংঘর্ষে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ ও এর আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। সংঘর্ষের একজন নিহত ও দুই শতাধিক মানুষ আহত হন।

এরপর দুইপক্ষের অনুসারীদের বের করে দিয়ে ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, সমাবেশে জুবায়েরপন্থি আলেমরা অনতিবিলম্বে ইজতেমা মাঠে আলেম-ওলামা ও ছাত্রদের উপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

এছাড়া জুবায়ের পন্থি আলেম ওলামা কিংবা ছাত্র-শিক্ষককে বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার না করারও আহ্বান জানান; অন্যথায় টঙ্গী অচল করে দেওয়ার হুমকিও দেন তারা।

আগামী সোমবারের মধ্যে ইজতেমা ময়দান খুলে দেওয়া না হলে মঙ্গলবার থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দেন বক্তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জুবায়ের পন্থি মুফতি মাসউদুল করীম, মুফতি মুহাম্মদ আবু বকর কাসেমী, মাওলানা জাহাঙ্গীর হোসেন কাসেমী, মুফতি মিজানুর রহমান, আনোয়ার হোসেন ফরিদী, মাওলানা মোছাদ্দেকুর রহমান, মাওলানা জাকির হোসেন প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে হামলায় আহতদের সুস্থতা ও তাবলিগি আলেম ওলামা মাশায়েখসহ মুসলমানদের শান্তি কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা ইউনুস শায়েদী।

এদিকে, শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকার জুবায়ের পন্থি মুসল্লিরা টঙ্গীর বিভিন্ন মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় জড়ো হন। জুমার নামাজের পর থেকে মুসল্লিরা দলে দলে টঙ্গীর স্টেশন রোডের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আসতে থাকেন।

এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, ১ ডিসেম্বর তাবলীগ জমাতের দুইপক্ষের (সাদ পন্থি ও জুবায়ের পন্থি) মধ্যে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নেওয়া সকল মুসল্লিকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসন ময়দানটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

জুমার দিনে মুসল্লিদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য টঙ্গী এলাকায় সতর্ক অবস্থানে ছিল। যেকোনো নাশকতা রোধে পুলিশ ছিল বেশ তৎপর। শেষ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই জুবায়ের পন্থিদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষ হয়।