আটককৃতরা শিশুটিকে নির্যাতন করার পাশাপাশি ভিডিও করে রাখত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আটককৃতরা হলেন ওই এলাকার রমজান মিয়ার স্ত্রী নেহার সুলতানা (৫০), বড় মেয়ে রুমানা আক্তার রুম্পা (২২) ও ছোট মেয়ে (১৬)।
এছাড়া রমজান মিয়া পালিয়ে থাকায় তাকে আটক করা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পরিদর্শক জিয়াউল বলেন, নির্যাতিত শিশুটি রমজান মিয়ার আপন ভাতিজি। দুই বছর বয়সে শিশুটির মা ও চার বছর বয়সে বাবা মারা যান। তখন তাকে লালন-পালনের কথা বলে নিজের কাছে নিয়ে আসেন রমজান মিয়া।
“তাকে দিয়ে বাড়ির বিভিন্ন কাজ করানো হত। সামান্য ত্রুটিতেই তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত বলে বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছে। এছাড়া আটককৃতরা নির্যাতন করার সময় ভিডিও করে রেখেছে।”
এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের পাশাপাশি তিনজনকে আটক করে বলে জানান পরিদর্শক জিয়াউল।
তিনি বলেন, নির্যাতনে শিশুটি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার কোনো অভিভাবক না থাকায় পুলিশ বাদী হয়ে নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে।