উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর ভাঙন চণ্ডীপুর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া, বেলকা ও হরিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চর এলাকায় তীব্র আকার ধারণ করেছে।
এতে এসব চরাঞ্চলের মানুষজন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কৃষকরা জমির আধাপাকা ধান কেটে নিতে বাধ্য হচ্ছে। অন্যদিকে ভাঙনের মুখে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে অনেক পরিবার।
সরেজমিন দেখা যায়, ভাঙনের মুখে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়া পরিবারগুলো খোলা জায়গায় কনকনে ঠাণ্ডায় মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সবচেয়ে বেশি খারাপ অস্থা হলো চণ্ডীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নে।
কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এক ওয়ার্ড সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে দুই শতাধিক একর জমি ফসলসহ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সহস্রাধিক একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে তার পাঁচ বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন, স্থায়ীভাবে নদী সংরক্ষণ ও শাসনের ব্যবস্থা না করায় প্রতি বছর নদী ভাঙনে চরম দুর্ভোগ নেমে আসে চরাঞ্চলের লোকজনের।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ত্রাণ কর্মকর্তা) নুরুনবী সরকার বলেন, নদীর পানি দ্রুত কমতে থাকায় ভাঙনের তীব্রতা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুইটি ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।