পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশকে আহত করার অভিযোগে টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই মো. রাকিবুল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে, ইজতেমা মাঠে আসা তাবলীগ অনুসারীদের ফেলে যাওয়া মালপত্র বিতরণে রোববার নয় সদস্যের এক কমিটি গঠন করেছে পুলিশ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান রোববার সকালে ওই কমিটি গঠন করেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, শনিবার জোড় ইজতেমা ঘিরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থি ও জুবায়ের পন্থিদের সংঘর্ষ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তারা পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করেন এবং তাদের হামলায় এক মুসল্লি নিহত এবং কয়েকশ মুসল্লি ও কয়েকজন পুলিশ আহত হন।
“পুলিশী কাজে বাধা ও পুলিশ আহত হওয়ার অভিযোগে রোববার দুপুরে টঙ্গী পশ্চিম থানায় অজ্ঞাত ২০-২৫ হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এসআই রকিব।”
“গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. হানিফের নেতৃত্বে কমিটিতে রয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ছাড়াও টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানার ওসি এবং সাদ পন্থি ও জুবায়ের পন্থীর দুই প্রতিনিধি রয়েছেন।
পরিচয়পত্র ও প্রমাণ নিশ্চিত করে ইজতেমা ময়দানে ফেলে যাওয়া মালপত্র সরবরাহ করা হবে বলে তিনি জানান।
এছাড়া সংঘর্ষে নিহত মুন্সীগঞ্জের ইসমাইল মন্ডলের ছেলে বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
জোড় ইজতেমা ঘিরে দিল্লি মারকাজ ও দেওবন্দ পন্থিদের সংঘর্ষে শনিবার টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে একজন নিহত এবং কয়েকশ জন আহত হয়েছেন।