রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তারা প্রক্টরের পদত্যাগও দাবি করেন।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটি, রাবি সাংবাদিক সমিতি ও রাবি প্রেস ক্লাব এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তন ভাড়া দিয়ে বাণিজ্যিক সিনেমা প্রদর্শনের প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর শনিবার হামলা হয়। এতে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আলী ইউনুসসহ সাত জন আহত হন।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ এ হামলা চালিয়েছে এবং এ হামলা চালাতে প্রক্টরের বিরুদ্ধে ‘নির্দেশ’ দিয়েছেন। তবে ছাত্রলীগ ও প্রক্টরে পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
মানববন্ধনে রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শিহাবুল ইসলাম বলেন, “সাংবাদিক হিসেবে আমাদের সংবাদ সংগ্রহ করার কথা; কিন্তু আমরাই আজ সংবাদ হয়ে গেছি। আমাদের সহকর্মীকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করতে হচ্ছে। লজ্জার বিষয় এই যে, সাংবাদিক মারধরের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটলেও আজ পর্যন্ত একটি ঘটনারও আমরা বিচার পাইনি।”
তিনি প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বলেন, হামলার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত দোষী ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সিরাজুচ সালেকিন, প্রেসক্লাবের সভাপতি রবিউল ইসলাম তুষার বক্তব্য রাখেন।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মানিক রায়হান বাপ্পীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জাহিদ, রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা নুর, প্রচার সম্পাদক আহমেদ ফরিদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ, ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী শাকিলা খাতুন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তিনটি সাংবাদিক সংগঠনের নেতাকর্মী, প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।