রাজশাহীতে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা নিহত

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচ জন।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2018, 02:46 PM
Updated : 1 Dec 2018, 02:46 PM

শনিবার দুপুরে তাহেরপুর হরিতলা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয় বলে বাগমারা থানার ওসি নাছিম আহমেদ জানান।

নিহত চঞ্চল চন্দ্র তাহেরপুর পৌরসভার হলদারপাড়ার নরেনচন্দ্র পিয়নের ছেলে। তিনি পৌরসভা যুবলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য।

আহতদের মধ্যে দুই জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আওয়ামী লীগের তিন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য এনামুল হক ও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত নেতা তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন এনামুল হক; মনোনয়ন চেয়েও পাননি আবুল কালাম আজাদ। এছাড়া এ দুজনের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে আগে থেকেই।  

বাগমারা থানার ওসি নাছিম আহমেদ জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জামগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ তার কিছু সমর্থক নিয়ে সভা করছিলেন।

“এ সময় স্কুলের ভেতর থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও এনামুল হকের সমর্থক গুলবার রহমান তাদের ভিডিও ধারণ করছিলেন। বিষয়টি আবুল কালাম আজাদের লোকজন দেখে ফেলে এবং তারা গুলবারকে মারপিটে জখম করে।”

পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে ওসি জানান।

তিনি বলেন, এ ঘটনার জের ধরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাহেরপুর হরিতলা এলাকায় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

“আহতদের মধ্যে এমপির সমর্থক গুলবার ও কাওসার আলী এবং মেয়রের সমর্থক চঞ্চল চন্দ্রকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

“বিকাল সোয়া ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চঞ্চল মারা যান। তার পিঠে একটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”

এ ঘটনায় তাহেরপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মাহাবুর রহমান বিপ্লবসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি।