নিহতরা হলেন ঢলুয়া ইউনিয়নের নলী গ্রামের আবদুল মন্নান (৭৫) ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৬৫)।
রাতে বাড়ির বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন তারা। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
সদর থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, দুই ছেলের বাবা মন্নান দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। প্যারালাইজ হয়ে বিছানায় পড়ে ছিলেন।
“ছেলেরা অনেক আগেই বাবার সম্পত্তি লিখে নিয়েছেন। তারপর মায়ের ৪৪ শতাংশ জমি লিখে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তারা বাবা-মায়ের ভরন-পোষণ দিতেন না। খোঁজখবর নিতেন না।”
জমি লিখে না দেওয়ায় বড় ছেলে নজরুল ইসলাম ননী ও তার স্ত্রী বিথী একাধিকবার বৃদ্ধ বাবা-মাকে মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসী এ নিয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠক করেছেন।
ওসি আবির বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির বারান্দায় একসঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন মন্নান ও তার স্ত্রী ফাতেমা। পাশের ঘরে ছিলেন তার বড় ছেলে নজরুলসহ পরিবারের সদস্যরা। ছোট ছেলে জহিরুল ইসলাম বরগুনা শহরে থাকেন।
“ধারণা করা হচ্ছে গভীর রাতে তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
এ ঘটনায় বড় ছেলে নজরুল ও তার স্ত্রী বিথী আক্তারকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান হোসেন বলেন, নজরুলের ছেলে নয়ন পলাতক রয়েছে। তাকেও আটকের চেষ্টা চলছে।
“ধারণা করছি অল্প সময়ের মধ্যেই খুনি শনাক্ত হবে।”