শরীয়তপুরে বাজারে আগুন লেগে নিহত ২

শরীয়তপুর শহরের পালং উত্তর বাজারে আগুন লেগে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া ১৪টি দোকান ও দুইটি বাড়ি পুড়ে গেছে।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2018, 06:39 AM
Updated : 30 Nov 2018, 07:08 AM

পালং মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, শুত্রুবার ভোর ৫টায় দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের সুকচাদ বৈগারী ছেলে পলাশ বৈরাগী (২৫)  ও একই গ্রমের রবি বাড়ৈয়ের ছেলে বিশ্বজিৎ বাড়ৈই ওরফে দেবদাস (১৭)।

তারা পালং উত্তর বাজারের নারায়ণ ঘোষের গোপাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে কাজ করতেন। 

এছাড়া আগুন নেভাতে গিয়ে ২০ জন আহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।

শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবদুল রহমান বলেন, খবর পেয়ে প্রথমে শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থালে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

পরে ডামুড্যা ও মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিস গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে তিনি জানান।

পালং বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম বেপারী বলেন, “নারায়ণ ঘোষের মিষ্টির দোকানের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মূহুর্তের মধ্যে তা আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।

“আগুনে আবদুল বাতেনের পালং ডেকোরেটর, গিয়াস ও স্বপনের চালের আড়ৎ, রণজিতের কাঁসা-পিতল, আলী আজমের লাইটিং, সজিবের কাপড়, নারায়ণের ওষুধ, হারু ঘোষের হারু মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, তানভির বেডিং স্টোর, আবুল হোসেনর হার্ডওয়ারসহ ১৪টি দোকান ও দুইটি বাসাবাড়ি পুড়ে যায়।”

গোপাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার থেকে নিহতদে লাশ উদ্ধার করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, আগুনে পুড়ে তারা আঙ্গার হয়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া মালামাল সরালে বোঝা যাবে আরও লাশ আছে কি না।

পালং বাজারের কাঁসা-পিতল ব্যবসায়ী শ্রী লক্ষ্মী বাসনালয়ের মালিক রণজিৎ কংশ বণিক বলেন, তার দোকানে প্রায় কোটি টাকার মালপত্র ছিল।

“আগুনে সব শেষ হয়ে গেছে। এখন আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি।”

পালং ডেকোরেটরের মালিক আবদুল বাতেন সরদার ‘ধার-দেনা করে’ দোকান দিয়েছিলেন জানিয়ে বলেন, “আগুনে সব ছাই হয়ে গেছে।”

আগুনে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসারীরা ধরণা করলেও তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস বিভাগ।

নিহতদের লাশ শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।