শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার মিয়ারহাট বাজারে লাগা এ আগুন প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে স্থানীয়রা। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
কালকিনি থানার ওসি মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে মোজাফফর হাওলাদারের দোকানে আগুন লাগে। পরে দ্রুতই তা পাশের আরও দুটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।
পরে স্থানীয়রা পানি ও বালু ছড়িয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান তিনি।
উপজেলার সিডিখান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার জামাল সরদার বলেন, “ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তিনটি দোকান ও মালামাল পুড়ে যায়।”
“আব্দুর বারেক চৌকিদারের দোকানে থাকা নগদ ৩৩ হাজার টাকা, ফ্রিজ, টিভি, ফ্যান ও পাইকারী মুদি মালামালসহ আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া ইব্রাহীম স্টোরের মালিকের নগদ ২০ হাজার টাকা ফ্রিজ, টিভি, ফ্যান পাইকারী মুদি মালামাল সহ আনুমানিক দুই লাখ এবং রানা স্টোরের মালিকের নগদ ১৫ হাজার টাকা ও পাইকারী মুদি মালামালসহ আনুমানিক দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ”
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ওই তিনটি দোকানের মালিক আব্দুল মান্নান বলেন, “আমি ঋণ করে দোকান ঘর তুলে ভাড়া দিয়েছিলাম। সবশেষ। কী করব বুঝতে পারছি না। ”
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি অনুদান দেওয়া হবে।