ফেনীর মাদ্রাসায় ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ, আটক ৩

ফেনীতে একটি মাদ্রাসা থেকে ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে; এ ঘটনায় মাদ্রাসার তিন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2018, 04:58 AM
Updated : 30 Nov 2018, 04:58 AM

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে ‘আত্মহত্যা’ বললেও ছেলেটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করছে তার পরিবার। 

জহিরুল ইসলাম সাকিব নামের ওই কিশোর জেলা শহরের পূর্ব উকিল পাড়ার কুয়েত প্রবাসী আবদুল আউয়াল কালামিয়ার ছেলে। সে সদর উপজেলার লালপোল এলাকার হালিমা-সাদিয়া (রা.) মহিলা মাদ্রাসার জামাত বিভাগের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

ফেনী মডেল থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, মাদ্রাসার একটি ঘর থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাকিবকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বলে কর্তৃপক্ষ তাদের জানায়।  

তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসেকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

তিনি বলেন, “পরে মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষক আবদুল করিম, মোরশেদ আলম ও মোস্তাফিজুর সাকিবের লাশ ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে রেখে চলে যাওয়ার সময় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ তাদের আটক করে।”

তাদের পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া ঘটনার পর থেকে মাদ্রাসার প্রধান হুজুরকে পলাতক রয়েছেন বলেও এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

নিহতের চাচা আবুল কালাম আজাদ বলেন, হালিমা-সাদিয়া (রা.) মহিলা মাদ্রাসায় চলতি বছর জানুয়ারি মাসে সাকিবকে ভর্তি করা হয়। মাদ্রাসাটি মহিলা মাদ্রাসা হলেও চলতি বছর থেকে ছেলেদের শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করে কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাদ্রাসার একটি ঘরের দরজা বন্ধ করে জানালার গ্রিলের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে সাকিব আত্মহত্যা করেছে বলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাদের খবর দেয়।”

আবুল কালামের দাবি, সাকিবকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ নানাভাবে নির্যাতন করতো। নির্যাতনের এক পর্যায়ে সাকিব মারা গেলে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়।