শুক্রবার রাতে নরসিংদী শহরের বীরপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন বীরপুরের সাত্তার ভুইয়ার ছেলে সাগর (২১), ডলি বেগমের ছেলে সাথি (২৪), আসাদ মিয়ার ছেলে আলামিন (১৯), আমির হোসেনের ছেলে সিয়াম (২৪) ও হ্নদয় (২৪)।
তাদের মধ্যে সাগর ও আলামিন শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি আবদুল মজিদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে। ছিনতাইয়ের সময় চিনে ফেলার কারণেই তানভীরকে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।
নিহত তানভীর আহমেদ খান (১৮) নরসিংদী সদরের বীরপুর এলাকার নাসির উদ্দিন খানের ছেলে। ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির অদূরে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
ওইদিনই তানভীরের বাবা নাসির উদ্দিন খান অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে ভৈরব রেলওয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জবানবন্দি দেওয়ার পর দুই জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি তিন জনকে ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে ওসি জানান।
ওসি মজিদ আরও বলেন, আলামিন ও সাগরকে শনিবার বিকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভৈরব জিআরপি থানার এসআই সুরুজ্জামান সরকার নরসিংদীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নাহিদুর রহমান নাহিদের আদালতে হাজির করেন। সেখানে তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, তানভীর আহাম্মেদ বই-পত্র আনার জন্য সকাল ৬টার দিকে ট্রেনে ঢাকা যেতে বাড়ি থেকে বের হন। ছেলেন খোঁজ নিতে সকাল ১০টায় তার মা তাকে ফোন করেন; কিন্তু কোনো সাড়া পাননি। এরপর স্থানীয়দের কাছে জানতে পারেন বীরপুর স্কুলের পাশে একটি দোকানের পেছনে বুকে ছুরিবিদ্ধ একটি লাশ পড়ে রয়েছে। পরে তারা গিয়ে পরে লাশ শনাক্ত করেন।
ওসি মজিদ বলেন, পুলিশ প্রথমে সন্দেহভাজন আলামিনকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আলামিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল ছিনতাই করা; কিন্তু ছিনতাইয়ের সময় তানভীর তাদের চিনে ফেলে। তাই তারা তানভীরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
সন্দেহ এড়াতে তারা সবাই তানভীরের জানাজা ও লাশ দাফনের কাজে অংশগ্রহণ করে বলেও পুলিশকে জানিয়েছে, বলেন সি।