যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেরুল হক সাবু জানান, লাশ ঢাকা থেকে আনার পর শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে কেশবপুর পাবলিক মাঠে প্রথম জানাজা হয়। এরপর বাগদা গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নের জন্য আবু গত ১২ নভেম্বর ঢাকায় যান। বুধবার ঢাকার কেরানিগঞ্জে বুড়িগঙ্গায় তার লাশ মেলে।
বিএনপি নেতা সাবু বলেন, আবু জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কেশবপুরের মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি পরপর পাঁচবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
আবুর মুত্যুর কারণ সম্পর্কে পুলিশ এখনও কিছু বলতে পারেনি।
স্বজনরা বলছেন, আবুকে অপহরণ করে তার কাছ থেকে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনতাই করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, “একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নের জন্য আবু গত ১২ নভেম্বর ঢাকায় যান। পল্টন এলাকার মেট্রোপলিটন হোটেলের চতুর্থতলায় ৪১৩ নং কক্ষে ছিলেন তিনি।
“দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনে জমা দেন। সাক্ষাৎকার বোর্ডে অংশ নেওয়ার জন্য ওই হোটেলেই অবস্থান করছিলেন। ১৮ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে তার সঙ্গী মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম ওষুধ কিনে ফিরে এসে তাকে আর পাননি। তাকে অপহরণ করা হয়।”