চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক সফিউল আজম শুক্রবার এ আদেশ দেন।
দীর্ঘদিন বিদেশে কাটিয়ে এসে সম্প্রতি দেশে ফেরা মিলনকে শুক্রবার ভোরে চট্টগ্রামের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে চাঁদপুরের আদালতে হাজির করা হয়।
তার আইনজীবী কামরুল ইসলাম জানান, পুলিশ মিলনকে ২০০৬, ২০১০ ও ২০১১ সালের একটি হত্যা মামলা, একটি হত্যাচেষ্টার মামলা এবং একটি চাঁদাবাজির মামলায় আদালতে হাজির করলে তারা জামিনের আবেদন করেন।
“কিন্তু সংশ্লিষ্ট আদালত বন্ধ থাকায় নথিপত্র উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। তাই বিচারক রোববার জামিন শুনানির দিন ধার্য করে দেন।”
রোববার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানি হবে বলে জানান কামরুল।
চাঁদপুরের বিভিন্ন আদালতে মিলনের নামে ২৮টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি মামলায় মিলনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
এর মধ্যে তিনি প্রকাশ্যে না এলেও তার স্ত্রী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুন নাহার বেবী চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে মিলনের জন্য বিএনপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন।
আদালতে হাজিরার সময় নিরাপত্তা চেয়ে এবং স্বাভাবিক নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার জন্য সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়ে গত ১৮ নভেম্বর স্ত্রীর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে একটি চিঠিও দেন মিলন।
এর পাঁচ দিনের মাথায় শুক্রবার ভোর রাতে চট্টগ্রামের চট্টেশ্বরী রোডে বিএনপি নেতা শাহ আলমের বাসায় অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ মিলনকে গ্রেপ্তার করে বলে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান।
চট্টগ্রাম থেকে মিলনকে সকালেই চাঁদপুরে নিয়ে আসা হয়। জেলা ডিবি কার্যালয়ে দুই ঘণ্টা রাখার পর বেলা পৌনে ১১টার দিকে তাকে তোলা হয় আদালতে।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. মামুনুর রশীদ জানান, ১৭ মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি মিলন চট্টগ্রামের ওই বাসায় গত ১৩ নভেম্বর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন।