বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নড়াইল সদরের ধুড়িয়া গ্রামে মেয়ের কবরের পাশে তাকে দাফন সম্পন্ন হয়।
ফজিলাতুননেছার নাতনি জামাই মুন্সী আসাদুর রহমান বলেন, ধুড়িয়া গ্রামের বাড়ির জমিটি মসজিদ ও মাদ্রাসার জন্য দান করে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। তার নানী শাশুড়ি মৃত্যুর আগেই ওছিয়ত করে গিয়েছিলেন, তাকে যেন গ্রামের বাড়িতে মেয়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ফজিলাতুন্নেছার প্রথম জানাজা হয় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিজিবি সদরদপ্তরে।
বাদ আছর নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের কুড়িরডোব মাঠে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ হয়।
এরপর মৃতদেহ নেওয়া হয় সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের নূর মোহাম্মদ নগরে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ কমপ্লেক্স চত্বরে। সেখানে বাদ মাগরীব তৃতীয় জানাজার নামাজ হয়।
পরে উপজেলার ধুড়িয়া গ্রামে চতুর্থ জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
ওই সময় পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ছেলে শেখ মো. মোস্তফা কামাল। তিনি তার মায়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
নূর মোহাম্মদের জন্মস্থান পার্শ্ববর্তী মহিষখোলা গ্রামে, বর্তমানে যার নাম নূর মোহাম্মদ নগর। ১৯৬৪ সালে ফজিলাতুন্নেছার সঙ্গে নূর মোহাম্মদ শেখের বিয়ে হয়।
গত ২৫ অক্টোবর নড়াইল শহরের কুড়িগ্রামের বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ফজিলাতুন্নেছা। ২৭ অক্টোবর তাকে বিজিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা সিএমএইচে নেওয়া হয়।
বুধবার সন্ধ্যা রাত ৭টার দিকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার তিন মেয়ে, এক ছেলে ও নাতি-নাতনি রয়েছেন।