বৃহস্পতিবার রংপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা শুনানির এই দিন ঠিক করে দেন।
এ আদালতের পিপি আব্দুল মালেক জানান, মামলার বাদী এদিন আদালতে উপস্থিত থাকলেও আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। মইনুলের পক্ষে জামিনেরও কোনো আবেদন ছিল না।
সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের আদালত চত্বরে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ।
গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টিভির এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক মামলা হচ্ছে ব্যরিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে, যিনি কামাল হোসেনের উদ্যোগে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সক্রিয় ছিলেন।
এর মধ্যে রংপুরের আদালতে মানহানির এ মামলাটি দায়ের করেন মিলি মায়া নামের এক মানবাধিকারকর্মী। মামলার আর্জিতে ১০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।
এ মামলায় গত ২৩ অক্টোবর রাতে ঢাকার উত্তরা থেকে মইনুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৪ নভেম্বর তাকে রংপুরে নেওয়া হলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা আদালত প্রাঙ্গণে তার দিকে ইট, জুতা ও ডিম নিক্ষেপ করে।
মইনুলের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে দায়ের হওয়া ২২টি মামলার মধ্যে ২০টি মানহানির মামলা, বাকি দুটি মামলা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।