বুধবার শুরু হওয়া এই উৎসব আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চলবে।
প্রতিবছর কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চরের আলোরকোলে শ্রী কৃষ্ণের রাস উৎসব হয়ে থাকে।
সনাতন ধর্মাবলম্বী পুণ্যর্থী ছাড়াও অন্য ধর্মের মানুষ এই উৎসব স্থলে জড়ো হতে শুরু করেছে।
পুণ্যার্থীরা পাপ মোচনের জন্য সূর্যোদয়ের আগে এখানে পুণ্যস্নান করবেন।
উৎসবস্থলে যাওয়ার জন্য সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে মোট আটটি প্রবেশ দ্বার প্রস্তুত রেখেছে বনবিভাগ।
এসব স্থান থেকে বনভিাগের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করা যাবে।
বুধবার সকাল থেকে রাস উৎসবে যোগ দিতে ইচ্ছুকদের অনুমতি (পাশ পারমিট) নেওয়ার অনুরোধ করেছে বনবিভাগ।
রাস উৎসবকে ঘিরে সুন্দরবনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দরবনে আসা সনাতন ধর্মাবলম্বী ও পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে বনবিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ আলাদা আলাদা টিম করে টহল দিবে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সূর্যোদয়ের আগে সাগরের জোয়ারের পানিতে পুণ্যস্নান করলে পাপ মোচন হয়ে যায়। রাস উৎসবে স্নান ছাড়াও প্রতিদিন পূজা অর্চনা, ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ তিনদিনের মেলাও বসে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বর্মকর্তা (ডিএফও) মাহমুদুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দর্শনার্থীদের জন্য আটটি প্রবেশ দ্বার রাখা হয়েছে। নিবন্ধিত একশ ফুটের বেশি লম্বা লঞ্চ প্রতি প্রবেশ ফি এক হাজার টাকা, একশ ফুটের নিচের লঞ্চের প্রবেশ ফি ৮০০ টাকা, পঞ্চাশ ফুটের নিচে ৫০০ টাকা, ইঞ্জিন চালিত ট্রলার প্রতি ৩০০ টাকা, স্পিডবোট ২০০ টাকা এবং নৌকা প্রতি ১০০ টাকা রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাস উৎসবকে ঘিরে সুন্দরবনে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সুন্দরবনে আসা সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে বনবিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ আলাদা আলাদা টিম করে টহল দেবে।
উৎসবের আড়ালে কোনো চোরা শিকারি যাতে বনের বন্য প্রাণীর ক্ষতিসাধন না করতে পারে সেজন্য বনভিাগের ২০টি বিশেষ দল কঠোর নজরদারি করবেও জানান ওই বন কর্মকর্তা।