ওই দাবিতে রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে প্রতীক অনশন কর্মসূচি থেকে আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে সহকারী অধ্যাপক কৃষ্ণ চন্দ্র রায় এ ঘোষণা দেন।
বেলা ১১টা থেকে মাথায় সাদা কাপড় বেঁধে ভুক্তভোগী শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রতীক অনশন করেন।অনশনের পাশাপশি ক্লাস-পরীক্ষাও বর্জন করেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার পদোন্নতি হলেও তাদের বর্ধিত বেতন দেওয়া হচ্ছে না দাবি করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে কৃষ্ণ চন্দ্র বলেন, এ সমস্যার সমাধান এবং ‘লাঞ্চনাকারীদের’ বিচার করা না হলে মঙ্গলবার থেকে তারা আমরণ অনশন শুরু করবেন।
তিনি বলেন, সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩ (২) ধারার একটি আদেশ বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকদের বেতন বাড়াচ্ছেন না।
“কিন্তু জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর ২৮ (২) অনুচ্ছেদে বলা আছে উক্ত বেতনসহ বিভিন্ন সময়ে জারি করা পরিপত্র/প্রজ্ঞপন যে নামে থাকুক না কেন সুবিধা বলবৎ থাকবে।”
গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর বিধান চন্দ্র হাওলাদারের কক্ষে বেতন বৈষম্য নিয়ে আলোচনার সময় সহকারী অধ্যাপকদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারধর করা হয় বলে শিক্ষকেরা অভিযোগ করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ১৫ নভেম্বর থেকে শিক্ষকদের একাংশ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আসছেন।