কর্তৃপক্ষ নোটিস টানিয়ে দিয়ে রোগীদের নিজ দায়িত্বে থাকতে বলেছে। নোটিসে লেখা হয়েছে, “এই ওয়ার্ডের ছাদ ভেঙ্গে পড়তেছে, এখানে থাকলে নিজ দায়িত্বে থাকবেন (কর্তৃপক্ষ)।”
হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলা এই ঝুঁকিতে পড়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রেমানন্দ মণ্ডল বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রকৌশল বিভাগ অনেক আগেই এ ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে।
“আমরা এখানে রোগী রাখতে চাই না। রোগীরা জোর করে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। তাই আমরা ওই সতর্কতাসূচক নোটিশ টানিয়ে দিয়েছি।”
এই ঝুঁকির মধ্যে কেন রোগীরা জোর করে ভর্তি হচ্ছেন, সরেজমিনে দেখতে গেলে উপজেলার টুপুরিয়া গ্রামের রাজা আলী মিয়া (৫৫) বলেন, “দুর্ঘটনায় আহত হয়েছি। বাইরে চিকিৎসা করার মত সামর্থ্য নেই। তাই মৃত্যুকে অলিঙ্গন করে এখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার আশা করছি।”
মঠবাড়ি গ্রামের পলি খানম (১৮), চিত্রাপাড়া গ্রামের নাসরিন বেগমসহ (৩২) অনেকেই একই ধরনের কথা বলেন।
ধারবাসাইল গ্রামের পংকজ অধিকারী (৩৫) আরও বলেন, “এ হাসপাতালে ভাল চিকিৎসা পাওয়া যায়। এখানে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্স থাকেন। এখানে চিকিৎসা খরচও নগণ্য।”
জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স রুনু বৈদ্য বলেন, “কর্তব্যরত অবস্থায় ছাদের পলেস্তারা খসে পায়ে পড়ে আহত হয়েছি। ঝুঁকির মধ্যে দায়িত্ব পালন করে যেতে হচ্ছে। কখনও কখনও চিকিৎসক ও রোগীও আহত হচ্ছেন।”