রংপুরে ঠাকুরপাড়ায় তাণ্ডবের ১ বছরেও বিচার শুরু হয়নি

ফেইসবুকে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে রংপুরের ঠাকুরপাড়ায় তাণ্ডবের এক বছর পরও তিনটি মামলার বিচার শুরু হয়নি।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2018, 12:02 PM
Updated : 14 Nov 2018, 12:42 PM

গত বছরের ১০ নভেম্বর সদর উপজেলার ঠাকুরপাড়া হিন্দু গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশের গুলিবর্ষণে একজন নিহত হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েক জনের বাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়।

ওই সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এখনও কোনো মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলেন, মামলাগুলো খুব স্পর্শকাতর। সবকিছু চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

“ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া টিটু রায়ের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে অভিযোগপত্র দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া অপর দুই মামলায় দেড় শতাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও বেশ কিছু আসামি গ্রেপ্তার এড়িয়ে আত্মগোপনে রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।”

খুব দ্রুত এই তিনটি মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ফাইল ছবি

মামলাগুলোর নথি থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে ৫ নভেম্বর ঠাকুরপাড়ার মৃত খগেন রায়ের ছেলে টিটু রায় ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননাকর স্ট্যাটাস দেন। এর পরদিন ৬ নভেম্বর টিটু রায়ের বিরুদ্ধে রংপুর সদর উপজেলার খলেয়া ইউনিয়নের শলেয়াশাহ গ্রামের মুদি দোকানি রাজু মিয়া গঙ্গাচড়া থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

এর জেরে ১০ নভেম্বর ঠাকুরপাড়া গ্রামে কয়েক হাজার মানুষের মিছিল থেকে হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে টিটু রায়ের তিনটি, সুধীর রায়ের ছয়টি, অমূল্য রায়, বিধান রায় ও কৌশল্য রায়ের দুটি করে ছয়টি, কুলীন রায়, ক্ষিরোধ রায় ও দীনেশ রায়ের একটি করে ঘর পুড়ে যায়।  পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত, আরও ১০ জন আহত হন।

এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া ও কোতোয়ালি থানায় দুই হাজারের বেশি লোককে আসামি করে আরও দুটি মামলা করে পুলিশ।