নভেম্বরের শুরুর দিকে শাক-সবজি চড়া দামে বিক্রি হলেও এখন ধীরে ধীরে কমছে বলে স্থানীয় সবজি ব্যাবসায়ী ও বিক্রেতারা জানান।
শেরপুর ব্রহ্মপুত্র সেতু সংলগ্ন সাতপাকিয়া পাইকারী বাজার ঘুরে প্রতি কেজি শিম ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে; যা আগে ছিল ১২০ টাকা। বটবটি প্রতি কেজি ১৮টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেগুন প্রতি কেজি ৫০/৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৪০ টাকায় মিলছে। একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ টাকায়; যা দুদিন আগেও বিক্রি হচ্ছিল ২৫ টাকায়। পটল ছিল প্রতি কেজি ৫০ টাকা এখন ৩৫ টাকা।
ডাকপাড়া গ্রামের বেগুন চাষি বাবুল মিয়া জানান, “বেগুনের দাম কয়দিন আগেও বেশি আছিল। অহন কইমা গেছে গা। আগে এক কেজি বেগুন ৫০/৬০ টেহা ছিল। এহন কেজি ৪০ টেহা।”
এক সপ্তাহ আগে ফুলকপি প্রতি কেজি ৫০/৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে বলে মোল্লাপাড়া গ্রামের ফুলকপি চাষি ওমর ফারুক জানান।
কুমড়ার চর গ্রামের কৃষক আব্দুল করিম বলেন, “লাউ কয়দিন আগে ২৫ টেকা বেচ্ছি। অহন ১০ থেকে ১৩ টেকার মধ্যে বেচতাছি।”
হরিণধরা গ্রামের বটবটি বিক্রেতা রাসেল আহমেদ বলেন, “৫৪ কেজি বটবটি নিয়া আসছিলাম। ১৮টাকা কেজি দরে বেচ্ছি; দাম এখন একটু কম।”
কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২০ টাকায়। পাতাসহ পেঁয়াজ একপাল্লা (পাঁচ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। ধনেপাতা প্রতি কেজি ২৫ টাকা আর লাউয়ের ডগা প্রতি আঁটি পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ঝিঙা, চিচিঙ্গা, করলাসহ অন্যান্য সবজি দামও আগের চেয়ে কমেছে। পাশাপাশি আমদানি বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজ ও রসুনের দামও আগের চেয়ে কিছুটা কম।
শেরপুর সদর উপজেলার শসা চাষি আবুল কাশেম বলেন, “২০ শাতাংশ জমিতে শসা চাষ করছি। আবাদ খুব ভাল অইছে। এক মন শসা সাড়ে পাঁচশ টাকায় বিক্রি করছি।”
ধনেপাতা ২৫ টেহা কেজিতে বিক্রি করছেন বলে জঙ্গলাপাড়া ভোটঘরের আব্দুস সাত্তার জানান।
সাড়ে ছয়শ লেবু দেড়শ টাকায় বিক্রি করেছেন জানিয়ে বলাইরচর গ্রামের লেবু চাষি চাঁন মিয়া বলেন, “সাতপাকিয়া কাঁচা বাজারের আড়তদার সব কাঁচামালের আমদানি বেশি থাকায় দাম এখন কম।”
কুমড়ারচর গ্রামের গ্রামের লাউয়ের ডগা বিক্রেতা মনোহর আলী বলেন, “বাজারে লাউয়ের ডগা বিক্রি করলাম প্রতি আঁটি পাঁচ টাকা করে।”
এছাড়া পাইকারী বাজারে এক আঁটি মূলা বিক্রি হচ্ছে পাঁচ টাকায় এবং মাঝারি এক বোঝা ডাটার দাম এখন ২০/২৫ টাকা।
পাইকারী বাজারে শাক সবজির দাম কমলেও স্থান ভেদে খুচরা বাজারে দাম কিছুটা বেশি বলে বিক্রেতারা জানান।