পাবনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সভা-সমাবেশ বন্ধ

অনির্দিষ্টকাল বন্ধ হওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মিটিং, মিছিল, সভা ও সমাবেশ বন্ধ করল কর্তৃপক্ষ।

সৈকত আফরোজ আসাদ পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Nov 2018, 03:40 PM
Updated : 10 Nov 2018, 03:40 PM

শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে, আগামী ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবক-শিক্ষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করলেও যথাসময়ে পরীক্ষা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য।  

গত ৫ নভেম্বর ছয় দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন, বিক্ষোভ ও উপাচার্যের কার্যালয়ে অবরোধের পর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে ১০ ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের ৪৭তম জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আপাতত মিটিং, মিছিল, সভা ও সমাবেশ বন্ধ ঘোষণা করা হলো। এ আদেশ পাবিপ্রবির সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর জন্য প্রযোজ্য।”

তবে ওইদিন (৫ নভেম্বর) ঘটনার পরপর যে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল বা ক্যম্পাসে যে নোটিশ টানানো হয় তাতে সভা সমাবেশ, মিছিল মিটিং বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের কোনো কথাই উল্লেখ ছিল না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ওই সভায় উপস্থিত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা কিছু বলতে রাজি হননি।

এদিকে, আগামী ১৬ নভেম্বর প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রায় ৩৪ হাজার শিক্ষার্থী এই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম বাবু বলেন, ভাইস চ্যান্সেলর (উপাচার্য) স্যারের ব্যর্থতা ঢাকতেই ক্যম্পাসে সভা সমাবেশ বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করেছেন।

“আগামী ১৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রায় ৩৪ হাজার শিক্ষার্থী এবার ভর্তি ফরম ক্রয় করেছেন। হল বন্ধ থাকলে এত শিক্ষার্থী কোথায় কীভাবে অবস্থান করবে?”

নাম-পরিচয় প্রকাশে একাধিক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বলেছেন, চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে ভর্তি পরীক্ষা। এই অস্থিরতার মধ্যে কী করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভর্তি পরীক্ষা নেবে তা তাদের বোধগোম্য নয়।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাবিপ্রবির কয়েকজন শিক্ষক বলেন, ক্যম্পাসের পরিবেশ ভালো না, এই সময়ে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা খুবই কষ্টের কাজ হবে।

উপাচার্য রোস্তম আলী ফরাজী বলেন, ক্যম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ক্যম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক হলে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

“ভর্তি পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।”

গত সোমবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ, সামাবেশসহ প্রশাসন ভবন অবরোধ করলে রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভা করে দশ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ক্যম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।