রোববার রাতে কাশিয়ানীর ঘোনাপাড়া গ্রামে মো. ইবাদুল ইসলামের বাড়িতে তার জামাতা কাজী আরিফ হোসেন (২৮) খুন হন।
পরদিন সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে পুলিশ তার স্ত্রী ফারাজানা ইসলাম কেয়া (৩২) ও কেয়ার বাবা ইবাদুলকে আটক করে।
ইবাদুল কাশিয়ানী এম এ খালেক কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
ওসি রহমান বলেন, গোপালগঞ্জ শহরের গেটপাড়ার কাজী মজিবর রহমানের ছেলে আরিফের সঙ্গে কেয়ার বিয়ে হয় নয় বছর আগে।
“বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবদ চলে আসছিল। এর জেরে কেয়া তার দূর সম্পর্কের মামাত ভাই রায়হান মাহমুদের (৩৫) সহযোগিতা চান। রায়হান রোববার রাতে খুলনা জেলার দৌলতপুর দেওয়ানা দক্ষিণপাড়া থেকে দুই ব্যক্তিকে ভাড়া করে কেয়াদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। তারা আরিফকে একটি কক্ষে আটক করে পিটিয়ে হত্যা করেন।”
জিজ্ঞাসাবাদে কেয়া এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন জানিয়ে ওসি রহমান বলেন, “বুধবার খুলনা থেকে ভাড়াটে খুনি মো. তন্ময় হোসেন মোড়লকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়।
“তন্ময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।”
এ ঘটনায় নিহত আরিফের ভাই কাজী গালিব বাদী হয়ে মঙ্গলবার কাশিয়ানী থানায় নয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ওসি রহমান বলেন, পুলিশ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।