রাঙামাটিতে জেএসএস কর্মীকে গুলি করে হত্যা

রাঙামাটির লংগদুতে জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) এক কর্মীকে গুলিতে হত্যা করা হয়েছে।

রাঙামাটি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2018, 06:02 AM
Updated : 9 Nov 2018, 06:02 AM

উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়াদম গ্রামের বান্দরতলা এলাকায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে লংগদু থানার ওসি রঞ্জন কুমার জানান।

নিহত বাজা চাকমা (৩৫) ওই ইউনিয়নের পূন্যসেন কারবারীপাড়া  গ্রামের সুরেন্দ্র চাকমার ছেলে।

এ ঘটনায় জেএসএস (এমএন লারমা) ইউপিডিএফকে দায়ী করলেও ইউপিডিএফ বরাবরের মতোই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমার) লংগদু উপজেলা সভাপতি অলঙ্গ চাকমা বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে বাজাকে হত্যা হুমকি দিয়ে আসছিল ইউপিডিএফ। প্রাণভয়ে বাজা নিজ বাড়িতে না থেকে স্থানীয় একজনের বাড়িতে রাত যাপন করতেন।”

বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১টার দিকে ইউপিডিএফের ছয়জন বাজাকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে অলঙ্গ জানান।  

অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপিডিএফের তথ্য ও প্রচার বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা বলেন, “এমন কোন ঘটনা আমার জানা নেই। আর এটা তাদের নিজেদের কোন্দলের কারণে হতে পারে।”

এ ঘটনার সঙ্গে তাদের সংগঠন কোনোভাবে জড়িত নয় বলেও দাবি করেন নিরন।  

ওসি রঞ্জন বলেন, লাশ উদ্ধার করে আপাতত লংগদু থানায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১৯৯৭ সালে সরকারের সঙ্গে সন্তু লারমার পার্বত্য শান্তি চুক্তির বিরোধিতা করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ছেড়ে ইউপিডিএফ গঠন করেছিলেন প্রসীত খিসা।

প্রায় এক যুগ আগে জনসংহতি সমিতি আরেক দফা ভেঙে সুধা সিন্দু খীসার নেতৃত্বে গঠিত হয় জেএসএস (এমএন লারমা)। সর্বশেষ গতবছর ইউপিডিএফ থেকে বেরিয়ে এসে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)নামে নতুন দল গড়েন তপন জ্যোতি চাকমা বর্মা।

এই বিভক্তির পথ ধরে সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে সশস্ত্র সংঘাত। ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর নেতা তপনজ্যোতি চাকমা নিজেও গত মে মাসে এক হামলায় নিহত হয়েছেন।