ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. গোলাম আযম বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া আদালত তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। জরিমানা না দিলে তাকে আরও এক বছর কারাগারে থাকতে হবে।
সাজাপ্রাপ্ত রিয়াদ মুন্সী ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সোনাদহ গ্রামের সলেমান মুন্সীর ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন।
২০১৩ সালে সদর উপজেলার মহিষাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার মেয়ে রিনা খাতুন (২০) হত্যামামলায় আদালত এই রায় দেয় আদালত।
ঝিনাইদহ আদালত পুলিশের পরিদর্শক কুলসুম বেগম মামলার মামলার নথির বরাতে জানান, রিয়াদ যৌতুকের জন্য রিনাকে নির্যাতন করতেন। ২০১৩ সালের ২৩ নভেম্বর সোনাদাহ গ্রামের লোকজন রিনাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
“সে সময় তার গলায় আঙ্গুলের ছাপ দেখতে পায় পুলিশ। ময়নাতদন্তে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ মেলে। রিনার স্বজনরা ভয়ে মামলা করেনি। পরে পুলিশ বাদী হয়ে রিয়াদ মুন্সীকে আসামি করে থানায় মামলা করে।”
থানার এসআই ইয়াসিন আলী তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।