সোমবার সন্ধ্যায় টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ হামলার ঘটনা বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
আহতদের দাবি, বিজিবির কাছে তথ্য সরবরাহের অভিযোগে একদল লোক তাদের উপর হামলা চালিয়েছে।
আহতরা হামলাকারীদের চিহ্নিত বললেও পুলিশ তা নিশ্চিত করতে পারছে না।
আহতরা হলেন টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আই-ব্লকের এক নম্বর শেডের বাসিন্দা মৃত আলী হোসেনের ছেলে আজিজুল হক (৫০), তার স্ত্রী তৈয়বা বেগম (৪০), ছেলে হোসাইন জোহার (১৫) ও এক বছর বয়সী মেয়ে জেসমিন আক্তার।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি প্রদীপ বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একদল দুর্বৃত্ত স্থানীয় আজিজুল হকের বাড়িতে হানা দেয়।
“তারা শোর চিৎকার করলে তাদের উপর দুর্বৃত্তরা অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে। এতে তিন জন গুলিবিদ্ধ এবং এক শিশু ধস্তাধস্তিতে আহত হয়েছে।”
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।
ওসি বলেন, আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে ক্যাম্প সংলগ্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশুটি ছাড়া অন্যদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হোসাইন জোহার বলেন, “বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর কাছে রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তদের ব্যাপারে তথ্য সরবরাহের অভিযোগে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে এসব দুর্বৃত্তরা এ নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রণনাশের হুমকিও দিয়েছিল।”
তিনি বলেন, চিহ্নিত রোহিঙ্গা ডাকাত নুরুল আলম ও মো. সাদেকের নেতৃত্বে ১৩ জন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা সকলেই চিহ্নিত রোহিঙ্গা দুর্বৃত্ত। ”
এদিকে কী কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ হামলা চালিয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান ওসি প্রদীপ।
তবে হামলার কারণ জানতে পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি প্রদীপ।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পারভেজ আলম বলেন, “গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একই পরিবারের তিন জন রোহিঙ্গাকে রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আজিজুল হকের অবস্থা আশংকাজনক।”