রংপুর আদালতে সংঘর্ষে দুই মামলা, গ্রেপ্তার ১০

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে রংপুরের আদালতে নেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Nov 2018, 05:45 PM
Updated : 5 Nov 2018, 05:45 PM

এ দুই মামলায় বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের নাম জানা যায়নি।

সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলায় একটি মামলায় রোববার মইনুলকে রংপুর নেওয়া হলে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে ঝাড়ু, জুতা দেখায় এবং পচা ডিম ছুড়ে মারে। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।   

রংপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) আলতাফ হোসেন জানান, কোতোয়ালি থানার এসআই জিয়া বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।

এছাড়া নগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান আনিস বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।

এসি আলতাফ বলেন, রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে বিএনপির দশ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান চলছে। প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে।

১৬ অক্টোবর বেসরকারি ৭১ টেলিভিশনের টক শো একাত্তর জার্নালে নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলেন মইনুল হোসেন। এমন মন্তব্যের পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে মইনুল হোসেন তার ওই মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন।

২১ অক্টোবর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মাসুদা ভাট্টি বাদী হয়ে মইনুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। পরে দেশের বিভিন্ন জেলায় তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়।

গত ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় রংপুরেও মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেদিনই রাজধানীর উত্তরায় জেএসডি নেতা আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শনিবার মইনুলকে ঢাকার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। রোববার তাকে আদালতে নেওয়া হয়।