রোববার মির্জানগর এলাকায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনের সামনে এই সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকালে গণস্বাস্থ্যের পিএইচএ ভবন এলাকায় জমির দাবিদার কয়েকজন উপস্থিত হলে গণস্বাস্থ্যের কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীরা পিএইচএ ভবনের ভিতর থেকে লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে প্রতিরোধ করে। এ সময় উভয়পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে জমির দাবিদাররা সরে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
“ওই সময় তারা বহিরাগত ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে পিএইচএ ভবনে ভাঙচুর চালায় ও ছাত্রী হোস্টেলের শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করে। এতে প্রতিবাদ করায় পা হারানো লিমনকে মারধর করে তার এক হাত ভেঙ্গে ফেলে।”
তিনি বলেন, রোববার বিকালে আবার তারা সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা চালালে গণস্বাস্থ্যের কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা তা প্রতিহত করে। এ সময় বহিরাগতদের ইটপাটকেলের আঘাতে তাদের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে জমির মালিক দাবিদার মোহাম্মদ আলী, নায়েব আলী, আমিনুল ইসলাম, লুৎফর রহমান, জাহানারা ফেরদৌস খান ও নাসির উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন অভিযোগ করেন, জাফরুল্লাহ ট্রাস্টের নামে দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের কারও পৈতৃক আবার কারও ক্রয় করা সম্পত্তি অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছিল।
এ ঘটনায় আগেও অভিযোগ করে তারা কোনো প্রতিকার পাননি বলে দাবি করেন।
সম্প্রতি তারা নিজেদের জমি দখলে নিয়ে স্থাপনা তৈরি করতে গেলে জাফরুল্লাহ নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে জানান তারা।
এ ঘটনায় তারাও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবন এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনাটি জানা নেই। তবে এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত ২৬ অক্টোবর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে একটি ভবন ও কিছু জমি দখল করে নিয়েছে একদল লোক, যাদেরকে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা তিন মামলার বাদীপক্ষের লোক বলছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
ওই সময় কিছু লোক গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ঢুকে পিএইচএ ভবনে ভাংচুর ও লুটপাটের পর গণবিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ছাত্রী হোস্টেলে হামলা করে। ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রীদের হোস্টেল থেকে বের করে দেয়। তারা ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করে এবং ছাত্রীদের বইখাতা ও শিক্ষা উপকরণ নষ্ট করে দেয় বলেও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।