দীঘিনালা থানার ওসি উত্তম কুমার দেব জানান, উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মনের মানুষ এলাকার নলিনী কুমার কারবারি পাড়ায় বৃহস্পতিবার রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে তারা খবর পেয়েছেন।
নিহত সুবেন্টু চাকমা (৩৮) ওই এলাকার শান্তি কুমার চাকমার ছেলে। তিনি ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলে সংগঠনের দীঘিনালা উপজেলা কমিটির অর্থ সম্পাদক তমিজ চাকমা জানান।
এই হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফকে দায়ী করে তমিজ বলেন, “সন্ত্রাসীরা সুবেন্টুর বাড়িতে ঢুকে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।”
এই অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সংগঠক মাইকেল চাকমা বলেন, “ওই এলাকায় আমাদের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। এ ঘটনার সঙ্গে আমারা কোনোভাবেই জড়িত না।”
১৯৯৭ সালে সরকারের সঙ্গে সন্তু লারমার পার্বত্য শান্তি চুক্তির বিরোধিতা করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ছেড়ে ইউপিডিএফ গঠন করেছিলেন প্রসীত খিসা। প্রায় এক যুগ আগে জনসংহতি সমিতি আরেক দফা ভেঙে সুধা সিন্দু খীসার নেতৃত্বে গঠিত হয় জেএসএস (এমএন লারমা)। সর্বশেষ গতবছর ইউপিডিএফ থেকে বেরিয়ে এসে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)নামে নতুন দল গড়েন তপন জ্যোতি চাকমা বর্মা।
এই বিভক্তির পথ ধরে সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে সশস্ত্র সংঘাত। ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর নেতা তপনজ্যোতি চাকমা নিজেও গত মে মাসে এক হামলায় নিহত হয়েছেন।