জেলার বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক জানান, বুধবার রাতে অজ্ঞাতনামা ১৬০ থেকে ১৭০ জনের বিরুদ্ধে তাদের থানায় এই মামলা হয়।
গত রোববার বড়লেখা উপজেলার অজমির গ্রামের কুটন মিয়ার সাত দিনের মেয়েকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে চান্দগ্রামে পরিবহন শ্রমিকদের বাধার মুখে পড়ে।
শ্রমিকরা আট দফা দাবিতে ওই দিন সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করছিলেন। তারা অ্যাম্বুলেন্সেটি দেড় ঘণ্টা আটকে রাখার পাশাপাশি চালককে মারধর করেন বলে অভিযোগ। পরে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।
দায়ীদের খুঁজে বের করতে বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। তাছাড়া এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তাও জানতে চেয়েছে আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. জসীম বলেন, “জড়িতদের চিহ্নিত করতে মাঠে গোয়েন্দারা কাজ করছেন। যাচাই-বাচাই করে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিনা দোষে কেউ হয়রানি হবে না।”
মামলার বাদী শিশুর চাচা আকবর আলী ওরফে ফুলু মিয়া বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটিকে তিন জায়গায় বাধা দেন ১৬০ থেকে ১৭০ জন শ্রমিক। তারা চালককে মারধর করেন।
“আমার ভাতিজিকে তারা স্পষ্টত হত্যা করেছে। তাই মামলা করেছি।”