শার্শায় কৃষকের মুখে হাসি এনেছে শীতের সবজি

বেনাপোলে শীতের সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে; এর সঙ্গে ভালো দাম ও ক্রেতার চাহিদা বেশি থাকায় হাসি ফুটেছে শার্শার চাষিদের মুখে।

বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Nov 2018, 07:04 AM
Updated : 1 Nov 2018, 07:04 AM

আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবছর শীতের সবজির ভালো ফলন হয়েছে বলে শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, শার্শায় এবার পাঁচ হাজার চাষি অন্তত ১৫ হাজার বিঘা জমিতে শীতের সবজি আবাদ করেছেন।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠের সবজি ক্ষেত ও বাজার ঘুরে তরতাজা লাউ, কুমড়া, শিম, বেগুন, বরবটি, ফুলকপি, বাধাকপি, ওলকপি, লালশাক, মুলা শাক, পালং শাক, টমেটো, গাজর, পটল, লতিকচু, মানকচু, ঢেড়স, বরবটি, চিচিংগা, সীম, উচ্ছে, করলা, বেগুন, মরিচ ও পেঁপেসহ নানা রকম তরতাজা সবজি দেখা গেছে।এ সব সবজি যেন প্রাণবন্ততার প্রতীক।

বাগআচড়া.নাভারন ও বেনাপোল বাজারে গিয়ে দেখা যায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা সবজি আহরণ ও বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উত্তর বারোপোতা গ্রামের উজ্জ্বল আলী জানান, এ বছর ১৫ শতক জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। পোকায় বেগুন নষ্ট করে দেয় বলে প্রতিনিয়ত বেগুনে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়।

তবে এবার কীটনাশক কম ব্যবহার করে ‘ব্যাগিং’ পদ্ধতিতে সুফল পেয়েছেন বলে জানান তিনি। 

উজ্জ্বল বলেন, “এতে পোকার আক্রমণও নেই। আর বাজরে ব্যাপক চাহিদা থাকায় দামও ভাল পেয়ে আমি খুশি।” 

হাড়িখালি গ্রামের গোলাম মোস্তফা ৫৫ শতাংশ জমিতে কপি চাষ করেছেন। সার, বীজ ও অন্যান্য মিলিয়ে তার প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান।

তবে এ মৌসুমে প্রায় লাখ টাকার কপি বেঁচতে পারবেন বলে আশা করছেন মোস্তাফা।

কাঠুরিয়া গ্রামের করিব হোসেন অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ৫০ শতাংশ জমিতে শুধু লাউ চাষ করেছেন।এতে তার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা।এরই মধ্যে তিনি প্রায় ৯০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন বলে জানান।

তিনি বলেন,“সারা বছর সবজি চাষ করলেও শীতের সবজির গুরুত্ব অন্যরকম।এ সময় অনেক রকম সবজির চাষ করা যায়। বাজারে আগাম সবজি সরবরাহ করতে পারলে ভাল লাভও হয়।”

বাগআচড়া বাজারের আড়ৎদার মোজাম্মেল হক বলেন, “শীতের সবজিতে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে।কিছুদিন আগেও দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে ছিল।সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে।এতে ক্রেতারা খুশি। “

ওই এলাকা থেকে দৈনিক অন্তত ২০ ট্রাক সবজি রাজধানিতে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।