সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
জেলা শহরের চকবাজারে লেপ-তোশক তৈরির কাজ করেন মালেক মিয়া, হাফিজ মাতুব্বর, রহমান শেখসহ অনেকে।
মালেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা বছরে প্রায় ছয় মাস অন্য কাজ করেন। শীত শুরুর আগে আগে লেপ-তোশক তৈরির কাজ শুরু করেন।
“বিভিন্ন লেপ-তোশকের দোকানে গিয়ে প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা মজুরিতে কাজ করি। কেউ কেউ চুক্তিভিত্তিক কাজ করে। তারা লেপপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা মজুরি নেয়।”
শীত এখনও জেঁকে না বসলেও অনেকে আগেভাগেই লেপ-তোশক বানাতে আসছে বলে জানালেন শহরের জনতা ব্যাংক মোড়ের লেপ-তোশকের দোকানি জাকির হোসেন।
আলীপুর থেকে লেপ কিনতে আসা কবির মোল্লা শীতের আগেই একটি লেপ নিতে চান বলে জানান।
আর জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক গৃহবধূ বললেন, কিছুদিন আগে তার মেয়ের বিয়ে হয়েছে। মেয়ের জন্য লেপ-তোশক বানিয়ে নিতে এসেছেন তিনি।
লেপ-তোশকের ফেরিওয়ালার হাঁকডাকও বেড়েছে ইতোমধ্যেই।
শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকায় লেপ বিক্রি করতে আসা একজন ফেরিওয়ালা নাম না জানিয়ে বলেন, “কাপড়, তুলা, মজুরি মিলে হাজার টাকা খরচ পড়েছে এমন একটা লেপ আমরা বিক্রি করি দেড় হাজার বা তার চেয়ে একটু কমবেশি।”
ফরিদপুরে এ বছর শীত একটু আগে এসেছে।
জেলার জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুশীল কুমার বলেন, “এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় মাটির আর্দ্রতা কমে গেছে। তাই তাপধারণ ক্ষমতাও কম। এ কারণে শীতের বার্তা আগে থেকে অনুভব করা যাচ্ছে।
“এ অঞ্চলে শীত আসা শুরু হয়েছে বেশ কিছু দিন হল। আকাশ মেঘলা থাকায় এখন কিছুটা কম। মেঘ কেটে গেলে বেশি হবে।”