সোমবার দুই দফায় এ হামলার শিকার হয়েছেন দলের জেলা যুগ্ম সম্পাদক শেখ তাহাউদ্দিন নাহিন।
আরেক যুগ্ম সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর পরিমল দাসকে এ হামলার জন্য দায়ী করেছেন নাহিন।
সোমবার ঢাকার একটি আদালত জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদাসহ চার আসামিকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে। পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।
জেলা বিএনপির ৪ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক শেখ তাহাউদ্দিন নাহিন বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিকভাবে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
“এ সময় ব্যানারে দাঁড়ানো নিয়ে ১০ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক পরিমল দাস আমাকে কিল-ঘুষি দেন। তখন সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে আমি রক্ষা পাই।”
এ সময় জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন ও সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মতি তাকে রক্ষা করেন বলে নাহিন জানান।
তিনি বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতির ইন্ধনেই তাকে মারপিট করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় তিনি দলীয় ফোরামে বিচার চেয়েছেন। মহাসচিবকে অবহিত করার চেষ্টা করছেন। বিচার না পেলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেনে।
এ ব্যাপারে পরিমল বলেন, খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক মিছিল-সমাবেশের ব্যানারে দাঁড়ানো নিয়ে জুনিয়ররা তাকে মারপিট করেছে।
এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে পরিমল বরং মারপিট থেকে তাকে বাঁচিয়েছেন বলে দাবি করছেন।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপি সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন এর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।