ভেদরগঞ্জে বন্দোবস্ত দেওয়া জমি দখলের অভিযোগ

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় এক ভূমিহীন পরিবারকে বন্দোবস্ত দেওয়া জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।

কে এম রায়হান কবীর শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2018, 02:39 PM
Updated : 29 Oct 2018, 02:40 PM

উপজেলার সখিপুর থানাধীন ৯০ নম্বর চর সখিপুর মৌজার এই ভূমিহীন পরিবারের অভিযোগ, এলাকার সালিশানদের কাছে গিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি।

কথিত দখলদার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোঁজ-খবর নিয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।

ভূমিহীন বাবুল চৌকিদার ও তার স্ত্রী সখিনা বেগম বলেন, চর সখিপুর মৌজার ১৫৬৮১ নম্বর দাগের জমির মূল মালিক ছিলেন ওহাব আলী ফকির। তার মৃত্যুর পর মেয়ে রোসিয়া বেগম এবং রোসিয়ার মৃত্যুর পর উক্ত জমির মালিক হন রোসিয়ার ছেলে বাবুল চৌকিদার।

বাবুল বলেন, দীর্ঘদিন খাজনা পরিশোধ না করায় এ জমি খাশ করা হয়। এরপর সরকার এ সম্পত্তি বন্দোবস্ত দেওয়ার ঘোষণা দিলে সখিপুর সরদার কান্দি গ্রামের বাবুল চৌকিদার ও তার স্ত্রী সখিনা বেগম বন্দোবস্তের জন্য আবেদন করেন।

এই আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১১ সালে ৩০ অক্টোবর ভেদরগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ৩০৬৭ নম্বর বন্দোবস্ত কবুলিয়ত দলিল মূলে ১ নম্বর খাশ খতিয়ানের ১৫৬৮১ দাগের ২১ শতাংশ জমির দখল বাবুল ও সখিনাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তারা নামজারি করে খাজনাদি পরিশোধ এবং উক্ত জমিতে মাটি ভরাট করে গাছপালা লাগিয়ে ঘরবাড়ি তুলে বসবাস করে আসছেন বলে বাবুল জানান।

বাবুল বলেন, এ অবস্থায় স্থানীয় প্রভাবশালী আবুল কালাম আজাদ ওরফে আজাদ সরদার কয়েকমাস ধরে  উক্ত জমি জবর দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ শুরু করেন এবং তাদেরকে (বাবুল ও তার স্ত্রী সখিনা) উৎখাত করে দেন।

“আজাদ সরদার আমাদেরকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে আমাদের জমিতে ঘরদরজা নির্মাণ করছেন। আমরা স্থানীয় প্রশাসনসহ সালিশানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো সুরাহা পাইনি।”

আবুল কালাম আজাদ ওরফে আজাদ সরদার বলেন, “আমি বাবুল চৌকিদার ও সখিনা বেগমের কোনো জমি দখল করে ঘর তুলিনি। আমার কেনা জমিতে ঘর তুলেছি।”

সখিপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রেজা শাহ আলম বলেন, “এ জমি বাবুল চৌকিদার ও সখিনা বেগমের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া আছে। খাজনাদি পরিশোধ করা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত বন্দোবস্ত বাতিলের কোনো কাগজ আমাদের কাছে আসেনি।”

এ ব্যাপারে ভেদরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “এ বিষয়ে কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। আমি বিষয়টির খবর নিয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”