ক্লাস-পরীক্ষা চালু থাকায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অতিরিক্ত ভাড়া গুণে তাদের ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহা. ইসমাঈল হোসেন বলেন, “সারাদেশের শ্রমিকদের সঙ্গে আমরা একাত্বতা ঘোষণা করে এখানেও পরিবহন বন্ধ রেখেছি।”
সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে রোববার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল। তিনি থাকেন নগরীর কোর্ট এলাকায়। সোহেল বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্ত্বশাসিত। আমরা তো সারাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত নই। আমরা কেন এর ভুক্তভোগী হতে যাব। আমাদের অনেকেরই ক্লাস-পরীক্ষা চলছে। আর এ ধর্মঘটের ফলে শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত টাকাও গুণতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে এ বিষয়টি বিবেচনা করতে পারত।”
এ ধরনের ধর্মঘট শিক্ষাকে ‘বাধাগ্রস্ত’ করছে বলে মনে করেন ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি বিভাগে এখন পরীক্ষা চলছে। এমতবস্থায় যদি বাস চলাচল বন্ধ থাকে তাহলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলের জন্যই বিষয়টি কষ্টকর। বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াত করেন।”
জানতে চাইলে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন, “আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দিতে। কিন্তু পরিবহন সমিতির সিদ্ধান্তের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর বাস চলাচল বন্ধ করেছে।”
তিনি উল্টো প্রশ্ন রেখে বলেন, “আর এমন পরিস্থিতিতে বাস চলাচল করে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায়ভার কে নেবে?”