মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে করা দুটি মামলায় শনিবার আদালতে সাত দিনের হেফাজতের (রিমান্ড) আবেদন করা হয়।
কিশোরগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আবদুন নূর আগামী সোমবার এই আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করে সোহেল রানা বিশ্বাসকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
শুক্রবার কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ‘বিজয় এক্সপ্রেস’ ট্রেন থেকে ১২ বোতল ফেন্সিডিল ও নগদ ৪৪ লাখ ৪৫ হাজর টাকাসহ সোহেল রানাকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে দুটি মামলা হয়।
এই দুই মামলা দায়ের করেছেন ভৈরব রেলওয়ে থানার এসআই আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া।
মাদক মামলা তদন্ত করবে পুলিশ, আর মানি লন্ডারিং আইনের মামলা তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন।
শুক্রবার সোহেল রানা ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন। দুপুর পৌনে ১টার দিকে ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনে পৌঁছলে রেলওয়ে পুলিশ একটি কেবিনে তল্লাশি চালায়। এসময় তার লাগেজে ১২ বোতল ফেনসিডিল ও নগদ ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায়, তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য পাওয়ার পর তার নিজের নামে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার ৩টি চেক, ১ কোটি টাকার ২ এফডিআর, স্ত্রী হোসনে আরা পপির নামে ১ কোটি টাকার ২টি এফডিআর এবং শ্যালক রকিবুল হাসানের নামে ৫০ লাখ টাকার একটি এফডিআর জব্দ করা হয়।